জনগনের টালবাহানার কারনে বাড়ছে করোনা। যেমন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা । টানা দুই মাসে সংক্রমনের হার নেমেগেছিলো ২% এর নিচে । অথচ গেলো শেষ সপ্তাহের ৬ দিনে দেশে গড়ে প্রায় ১৫০০ এর বেশি করোনায় আক্রান্ত যা দেশে সর্বচ্চ । ফেব্রুয়ারিতে করোনায় আক্রান্তের হার ছিলো মাত্র আড়াই শতাংশের নিচে নেমে গেছিলো । বর্তমানে এই সংক্রমনের হার ৯% এর উপরে।
এসব বিবেচনায় সরকার সর্বস্তরে মাস্ক নিশ্চিত করতে সরকার ১১ টি দফা জারি করেছে-
১) সরকারি , আধা-সরকারি , স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মকর্তা , কর্মচারি ও সবা গ্রহীতার বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
২) সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল সহ সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা সেবা গ্রহিতার অবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৩)শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , মসজিদ , মন্দির ও গির্জা সহ সব উপসানালয়তে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতা মূলক ।
৪) শপিংমল ও বিপণীবিতান ও দোকানের ক্রেতা ও বিক্রেতার অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৫) হাটবাজার মাস্ক ছাড়া যাওয়া নিষেধ করা হয়ছে ।
৬) গনপরিবহনে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হযেছে।
৭) গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ।
৮) হকার ও ফুটপাতের দোকান দারদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৯) হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদ ব্যাক্তি ও জনসমাবেশ চলাকালিন অবশ্যিকভাবে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
১০) সব সামাজিক অনুষ্টানে আগত ব্যক্তিদের মাস্ক পড়া বাধ্যতা মূলক ।
১১) বাড়িতে করোনা উপসর্গ বা আক্রান্ত ব্যক্তি থাকলে পরিবারের সবাইকেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
টিকা নিতে আগ্রহ কম
এদিকেক টিকা গ্রহিতার সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমছে। দেশে দেওয়ার শুরুর প্রথম দিকে তিন দিনে গ্রহিতার সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে ছিলো । এখন তা অর্ধেকে নেমেছে টিকা গ্রহিতার সংখ্যা ।
এসবের জন্য নিবন্ধনের জটিলতা ও প্রান্তিক পর্যায় রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা না থাকার কারন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মুখপাত্র মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, প্রান্তিক পর্যায় মানুষ রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন, রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে কারো না কারো সাপোর্ট লাগে ।
তিনি আরো বলেন, দূরত্বের কারনেও রেজিস্ট্রেশন কমছে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, গুজবের কারনেও করোনা টিকা রেজিস্ট্রেশনের হার কমছে। টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা সার্বজনিন করতে পারলে টিকার গ্রহিতার সংখ্যা আরবে বরে তিনি আশা করেন।
করোনার টিকার সার্বিক পরিসংখ্যান।
আজকের দিন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগির শানাক্ত ৫৬৪৯৩৯ জন । আজ অথ্যাৎ ১৮ মার্চ ২৪ ঘন্টায় করোনা রোগী শানাক্ত হয়েছে ২১৮৭ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫৩৪ জন । মোট সুস্থ হয়েছেন ৫১৭৫২৩ জন।
আজ ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের । এই পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮৬২৪ জন ।
আজ ২৪ ঘন্টায় করোনা নমুনা পরিক্ষা করা হয ২০৯২৫ টি নমুনা। এই পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরিক্ষা করা হয় – ৪৩৪৯১৯৪ টি নমুনা ।
করোনা শনাক্তের পরিসংখ্যান
দেশে মার্চ মাসে শানাক্ত হয় -৫৬ জন, এপ্রিল ৭৬১৬ জন, মে-৩৯৪৮৬ জন ,জুন–৯৮৩৩০ জন,জুলাই-৯২১৭৮ জন, আগস্ট-৭৫৩৩৫ জন, সেপ্টেম্বর- ৫৩৪৮৩ জন, অক্টোবর- ৪৪২০৫ জন, নভেম্বর- ৫৭২৪৮ জন, ডিসেম্বর- ৪৬৩২৯ জন,
জানুয়ারি-২০২১: ২১৬২৯ জন, ফেব্রুয়ারি – ১১০৭৭ জন, মার্চ- ১৮৭২৩ জন।
আজ ২৪ ঘন্টায় ২০৯২৫ জন নমুনা পরিক্ষা হয় । যা শানাক্তের হার ১০.৪৫% যা গত ৯৪ দিনে একদিনের পরিক্ষার হার বিবেচনায় সর্বোচ্চ।
ইবাংলানিউজ২৪.কম/
তথ্য সূত্রঃ মাছরাঙ্গা টিভি।