আজ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে চা দিবস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের দিনকে স্মরণীয় রাখতে ৪ঠা জুনকে জাতীয় চা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।এই উপলক্ষে নানান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় চা বোর্ড।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ ঠা জুন ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন পাকিস্তানের সময় চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বাঙ্গালী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আজ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে চা দিবস। আজ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে চা দিবস।
এই দিনটি বিশেষ ভাবে সম্মরণীয় রাখতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। আজ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে চা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। দেশের সাধারণ মানুষের সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে চা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্পের পুনর্বাসনে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।’
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন গত ১০ বছরে প্রায় ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সর্বাধিক ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। চা রফতানির পুরাতন ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সরকার এর উৎপাদনের পাশাপাশি বিপণনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে। ফলে, ২০২০ সালে ১৯টি দেশে চা রফতানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। আমরা চা আইন ২০১৬ প্রণয়ন করেছি।’
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বঙ্গবন্ধু চা শিল্পে অনেক অবদান রেখেছেন। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে এবং স্বাধীনতাযুদ্ধের পর চা-বাগান পুনর্বাসনে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের নির্দেশনা, চা শিল্প ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর মালিকানাবিহীন ও পরিত্যক্ত চা-বাগান পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেন। চা গবেষণা স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু। শ্রমিকদের বিনামূল্যে বাসস্থান, শিক্ষা ও রেশন প্রাপ্তিও নিশ্চিত করেন তিনি। আজ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে চা দিবস।
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড় সফর করে চা চাষের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেখানে এখন চা চাষ করে দরিদ্র মানুষের জীবন বদলে গেছে। চা দিবস কবে পালনিত হয় চা দিবসের তারিখ
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু টি ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজমেন্ট গঠন করে যুদ্ধ উত্তরণ মালিকানা বিহীন পরিত্যাক্ত চা বাগান পুনর্বাসন করার পদক্ষেপ করেন। এরই ধারবাহিকতায় ১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে এক গেজেটের মাধ্যমে বর্তমান সরকার চা অধ্যদেশ ১৯৭৭ গ্রহন করে চা আইন ২০১৬ জারি করেন।
শুধু তাই নয় চা একসময় সিলেট চট্রগ্রামের বাহারী এলাকায় হলেও এখন সমতলেও এর আবাদ সম্পসারিত হয়ছে।
বর্তমানে পঞ্চগড় , ঠাকুরগাঁওসহ অন্য অঞ্চল মিলিয়ে দেশে ১২ শতাংশ চা আবাদ হয়। অন্যদিকে ময়মনিংহের জেলা সহ আরো কিছু এলাকায় চা আবাদের পরিকল্পনা গ্রহন করছে সরকার। আজ দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে চা দিবস।
তথ্য সূত্রঃ জাগোনিউ২৪ এবং বিটিভি নিউজ।
মন্তব্য করুন