শুধু দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ এমন শিরোনামে মাস্টার্স পাস করা আলমগীর কবিরের একটি বিজ্ঞাপনের ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এটি ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই সে যুবকের সন্ধান চান।
বগুড়া শহরের জহুরুলনগর এলাকায় বসবাস করা যুবকের ভাইরাল এই বিজ্ঞাপন দেখে বুধবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। পরে পুলিশ সুপার তাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেছেন আলমগীর। ২০২০ সালে মাস্টার্স পাসের পর থেকে চাকরি খুঁজছেন তিনি। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী চাকরি পাননি আলমগীর।
এ জন্য পেশায় ‘বেকার’ উল্লেখ করে বগুড়া শহরের জহুরুল নগরের আশেপাশের এলাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গণিত ছাড়া সব বিষয় পড়ানোর জন্য তিনি বিজ্ঞাপনটি দেন।
এদিকে গেল সপ্তাহে দু ‘বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই শিরোনামের পোস্টার লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন আলমগীর কবির নামের এক যুবক। বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকায় সকাল ও দুপুরের খাবারের বিনিময়ে পড়াতে চান বলে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যান আলমগীর কবির।
তার পর থেকেই পক্ষে বিপক্ষে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আলমগীরের ফেসবুক প্রোফাইলের কিছু নেতিবাচক পোস্টও ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেনদের কাছে।সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকেই বলছেন শুধুমাত্র ভাইরাল হবার জন্যই এধরনের পোস্টার সাটিয়েছেন তিনি । কিন্তু তার এধরনের পোস্টার ভাইরাল হবার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে ।
আলমগীর জানান, বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ফলাফলে তিনি সারাদেশে প্রথম হয়েছেন। পোস্টারের আলমগীর কবির কে কলেজে খুঁজে পেতে কিছুটা সময় লেগে যায় কারণ তার নাম সেখানে আলমগীর হোসেন।আলমগীর হোসেনের ফলাফলে দেখা যায় তিনি ঐ কলেজের তালিকায় ২২ তম স্থান দখল করে আছেন।
ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আশরাফ আলী জানান, খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন আলমগীর।ফলে সে এ ধরনের কাজ করেছে।
সূত্রঃ আরটিভি
মন্তব্য করুন