শেয়ারবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানির মধ্যে ২০ কোম্পানি দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১১ কোম্পানির।
এগুলো হলো- তিতাস গ্যাস লিমিটেড, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মবিল যমুনা, সামিট পাওয়ার লিমিটেড, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার, ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্টস, পাওয়ারগ্রিড, যমুনা অয়েল লিমিটেড এবং এসোসিয়েটেড অক্সিজেন। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭ কোম্পানির, লোকসানে একটি এবং একটির আয় অপরিবর্তিত। এছাড়া ৩টি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জনা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় কমেছে ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্টসের। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৯৪ পয়সা।
অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে এক টাকা ৭২ পয়সা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) আয় হয়েছে ২ টাকা ৯৬ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ৮০ পয়সা ছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৩০ টাকা ৫৮ পয়সা।
অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে-
তিতাস গ্যাস লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২ পয়সা। দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা।
অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ৭১ টাকা ৩১ পয়সা।
জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২২ পয়সা। দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) ইপিএস হয়েছে ৬০ পয়সা।
আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ২০ টাকা ৩৭ পয়সা।
শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩৯ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ০২ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ৪১ টাকা ৩৬ পয়সা।
মবিল যমুনা : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩ পয়সা। দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩৭ টাকা ৫৬ পয়সা।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৫৩ পয়সা। দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৭৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩২ টাকা ৬৭ পয়সা।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৯২ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২০ পয়সা। দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ২৯ টাকা ৬৫ পয়সা।
যমুনা অয়েল লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৭৬ পয়সা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৫ টাকা ৫৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২১ পয়সা। দুই প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯ টাকা ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে এক টাকা ২১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৯০ টাকা ৯২ পয়সা।
খুলনা পাওয়ার : দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ৬৬ পয়সা আয় হয়েছিল। প্রথম দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৭। ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২১ টাকা ৫১ পয়সা।
পাওয়ারগ্রিড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯৩ পয়সা, গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল এক টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩৩ পয়সা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) আয় হয়েছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৫১ পয়সা ছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩১ টাকা ৮৪ পয়সা।
এসোসিয়েটেড অক্সিজেন : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১০ পয়সা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) আয় হয়েছে ৯৪ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল এক টাকা ৫ পয়সা ছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৮ টাকা ৮৮ পয়সা।
কৃতজ্ঞতাঃ শেয়ার নিউজ
মন্তব্য করুন