সময়ের সাথে সাথে মানুষ আধুনিক হয়েছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চাহিদাও বেড়েছে। তাই মানুষ তার জীবনের প্রয়োজনে,তার অর্থনৈতিক প্রয়োজনে, ভবিষ্যৎ জীবনের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয় করতে চায়।ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকাটা এখন একরকম অপরিহার্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্য দিনের অজস্র প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন রকম টাকা-পয়সার লেনদেন করতে হয় ব্যাংকের মাধ্যমেই।
কিন্তু কিভাবে এ ব্যাংক একাউন্ট করবেন বা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে ? এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? চিন্তার কারণ নেই! আজ আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ব্যাংক কি
ব্যাংক হলো এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণ মানুষের সঞ্চয় এবং প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে পুঁজি গড়ে তোলে এবং সেই পুঁজি ব্যবসায়ীদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে।
বাংলাদেশে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সাধারণত দুই রকমের ব্যাংক ফর্ম পাওয়া যায়:
১। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ফর্ম,
২। প্রাতিষ্ঠানিক/ অব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ফর্ম।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে-
ব্যাংক প্রদত্ত একাউন্ট ফরমটি সংগ্রহ করে যথাযথ তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন।
সাম্প্রতিক সময়ে তোলা একাউন্ট হোল্ডারের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রংগিন ছবি (সত্যায়িত দরকার হতে পারে)
সাম্প্রতিক সময়ে তোলা নমিনির পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি
অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ও নমিনি, উভয়ের ছবিযুক্ত পরিচয় পত্র, যেমনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স, যেকোনো একটির অনুলিপি
জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করেও ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়। তবে সেক্ষেত্রে হিসাব পরিচালনাকারীর ছবিযুক্ত অন্য যেকোনো গ্রহণযোগ্য পরিচিতিপত্র প্রদান করতে হতে পারে।
এছাড়াও সকল প্রকার প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে যা যা অতিরিক্ত লাগবে:
১। প্রত্যেক অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারীর নাম-পদবীসহ সিল।
২। ট্রেড লাইসেন্স।
৩। প্রতিষ্ঠানটি একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান না হলে রেজ্যুলেশন লাগবে যাতে থাকে নির্দিষ্ট ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ও অ্যাকাউন্টটি কে পরিচালনা করবে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত। রেজ্যুলেশনে পর্ষদ/ বোর্ড/ গভর্নিং বডির সদস্যরা স্বাক্ষর করবেন।
উপরোক্ত কাগজপত্র ছাড়াও মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কাগজপত্র ও তথ্যাবলির প্রয়োজন পড়ে।
যেমন, পার্টনারশিপ ফর্ম, সমিতির গঠনতন্ত্র ও রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদনপত্র, এনজিও ব্যুরো হতে লাইসেন্স, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির জন্য সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন, সার্টিফিকেট অব কমেন্সমেন্ট অব বিজনেস ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন