বাজারে সরু চাল, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তবে ঈদ-পরবর্তী সময়ে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কমেছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরু বা মিনিকেট চালের দাম বেশ কিছুদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। গত মাসে এই চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছিল এবং গত দুই সপ্তাহে আরও ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল ও কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন মানের নাজিরশাইল চাল ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা চাল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে খুচরা দোকানে রশিদ, ডায়মন্ড, সাগর ইত্যাদি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা ছিল। মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দাম আরও বেশি, প্রতি কেজি ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বোরো ধান উঠলে চালের দাম কমতে পারে।
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৮৯ টাকা হয়েছে, যা আগে ১৭৫ টাকা ছিল। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও লিটারে ১২ টাকা বেড়েছে।
অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। বড় বাজারগুলোতে গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং পাড়া-মহল্লায় ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের শুরুতে পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি ছিল।
মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা আতাবুল ইসলাম বলেন, তিনি গত দুই-তিন মাস ধরে বেশি দামে মিনিকেট চাল কিনছেন এবং এখন সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে তার মাসের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
শীতকাল শেষ হলেও বাজারে গ্রীষ্মের সবজির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। যেমন, প্রতি কেজি পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম ২২০ থেকে ২৩০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি ছিল।
ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো মঙ্গলবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়েছে, ফলে এক লিটারের দাম ১৮৯ টাকা হয়েছে, যা আগে ১৭৫ টাকা ছিল। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও লিটারে ১২ টাকা বেড়েছে।
সয়াবিন ও পাম তেলের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা অস্বস্তি বোধ করছেন। মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা আতাবুল ইসলাম জানান, মিনিকেট চালের পাশাপাশি এখন তেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়ায় তাদের মাসিক খরচ অনেক বেড়ে গেছে।