যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে জরুরি আলোচনা সভার আহ্বান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই জরুরি সভাটি আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেসসচিব তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘মার্কিন শুল্ক সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি জরুরি সভার আয়োজন করেছেন। এই সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন।’
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে অবস্থানকালে ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই শুল্ক সমস্যার একটি ইতিবাচক সমাধান সম্ভব।
গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছি। যেহেতু এটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য, তাই আমরা অবশ্যই আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হব।’
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ১৫ থেকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিষয়টি এখনও প্রাথমিক আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটি পর্যালোচনা করছি এবং আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আমরা এমন একটি সমাধান খুঁজছি যা উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক হবে।’
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। এই বাজারে বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৮.৪ বিলিয়ন ডলার, যার প্রধান অংশ তৈরি পোশাক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলার। এই নতুন উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষত তৈরি পোশাক শিল্পে, মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।