করোনার ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার নানা উদ্যোগ নিতে আসছে বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়বে। শিক্ষাসংশ্নিষ্ট তিন মন্ত্রণালয় মিলে গতবারের চেয়ে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে ব্যাপক জনপ্রত্যাশা থাকলেও এবারের শিক্ষা বাজেটে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন স্কেল, শিক্ষক নিয়োগের পৃথক কর্মকমিশন ও বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি পূরণের কোনো উদ্যোগ নেই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমরা এবার গতবছরের চেয়ে বেশি বরাদ্দ চেয়েছি। আশা করছি পাবো।’
স্কুল-কলে এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘থাকবে, আশাকরি।’
গত বছর (২০২০-২১ অর্থবছরে) মূল বাজেটে শিক্ষা খাতে ৬৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য আট হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষা খাতে এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল মোট ব্যয়ের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ০৯ শতাংশ। গত কয়েকটি বাজেটে শিক্ষা খাতে টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও জিডিপির তুলনায় তাতে খুব বেশি হেরফের হয়নি।
জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর পরামর্শ হলো, শিক্ষা খাতে মোট জিডিপির ছয় শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার। অথচ দেশে তা বহুদিন ধরে দুই দশমিক ২০ থেকে দুই দশমিক ৩০-এর মধ্যে থাকছে।
দৈনিক শিক্ষার প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, করোনার কারণে সারাদেশের চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে।
আসছে অর্থবছরে শিক্ষাখাতের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, করোনার কারণে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের আয় কমে গেছে, এই শিশুরা পুষ্টির ঘাটতিতে পড়ছে। করোনার প্রভাবে বাল্যবিয়ে বাড়ছে ও ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস মিলছে।
শিক্ষার বিপর্যয় রোধে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। গতানুগতিক বাজেট দিয়ে কভিড ১৯-এর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
তথ্য সূত্রঃ dainikshiksha.com
এই খবরের বিস্তারিত পড়ুন>>দৈনিক শিক্ষা ডট কম থেকে।
মন্তব্য করুন