দক্ষিণ কোরিয়া একটি প্রযুক্তি নির্ভর দেশ।কোরিয়াতে স্কালারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রতি বছর সকরারি এবং বেসরকারি ভাবে প্রচুর স্কালারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।
কোরিয়া গর্ভারমেন্ট সরকারি ভাবে কোরিয়াতে স্কালারশিপ দিয়ে থাকে , যাকে বলে গ্লোবাল কোরিয়া স্কালরশিপ । এই স্কলারশিপ বছরে প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আরো ৫০০-৬০০ স্কালারশিপ রয়েছে অন্যান্য নামে।
যেমন সেলফ ফিনালশিয়াল স্কালশিপ দেওয়া হয় । এছাড়া অনেকে নিজের টাকায় কোরিয়াতে পড়াশোনা করতে আসে । যদি তারা কোরিয়ায় পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করে তাহলে সরকার তাদের বিভিন্ন মেয়াদে স্কালারশিপ দেয়।
কোরিয়াতে সাইন্স , আরর্স, কমার্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিতে পড়াশোনা করার জন্য স্কালারশিপ দিয়ে থাকে।
তবে কোরিয়া যেহেতু প্রযুক্তি নির্ভর দেশ এর জন্য অ্যাপ্লাইড সাইন্স যে সাবজেক্ট গুলো আছে , বিশেষ করে – অ্যাপলাইড ফিজিকস , ক্যামেস্টি, ইলেক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং , কম্পিউটার সাইন্স বাং ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেক্টরে যত গুলো সাবজেক্ট আছে এই সকল সেক্টরের কোরিয়াতে সুযোগ সুবিধা সবচেয়ে বেশি।তার ছাড়া কোরিয়াতে বিজ্ঞানের যেসব সাবজেক্ট আছে । এই সব সাবজেক্ট নিয়ে কোরিয়া প্রচুর গবেষণা করে থাকে এবং কোরিয়া সরকার অনেক স্কালারশিপ দিয়ে থাকে।
কোরিয়াতে স্কালারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন
কোরিয়া সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে স্কালারশিপ দিয়ে থাকে।
তেমনি প্রফেসর’স ফান্ডিং এর মাধ্যমে অনেক স্টুডেন্ট কোরিয়াতে পড়াশোনা করতে আসে।
বিশেষ করে মাস্টর্স এবং পিএইডিতে সরকারি স্কালারশিপের চাইতেও প্রফেসর’স ফান্ডিং এ স্কালারশিপ পাওয়ার সুযোগ বেশি রয়েছে।বাংলাদেশে যেহেতু অনেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আইটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে কোরিয়াতে স্কালার শিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কোরিয়াতে সরকারি যেসব স্কালশিপের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে , তা মূলত কোরিয়ান অ্যাম্বাসির ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক অথবা বাংলাদেশ শিক্ষামন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে দিয়ে থাকে।কোরিয়াতে ইন্টারন্যাশনাল ডিপলোমেটিক স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে যারা আন্ডার গ্রেজুয়েশন স্টুডেন্ট ।এই স্কলারশিপটি মূলত হাংগুক ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন ইন্সটিটিউট দিয়ে থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল ডিপলোমেটিক স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কোরিয়াস্থ বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে একটি প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে।এরপর বাংলাদেশী দূতাবাস উক্ত প্রত্যায়ন গ্রহন করে ভিসা প্রাপ্তির পথ অনেকটা সুগম হয়।
কোরিয়াস্থ বাংলাদেশী দূতাবাস ইন্টারন্যাশনাল ডিপলোমেটিক স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকংশে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে।১৯৬০ সালের দিকে কোরিয়া সবচেয়ে অবহেলিত দারিদ্র দেশ ছিলো কোরিয়া । ১৯৭০ সালে যার আয় ছিলো ৯ বিলিয়ন। বর্তমানে ২০২১ সালে ১.৬৩ ট্রিলয়নে দাড়ায়।
কোরিয়াতে স্কালারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন ।
ইবাংলানিউজ২৪/
মন্তব্য করুন