আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে আরিয়ানের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। জানা গেছে, আরিয়ান, মুনমুন আর আরবাজের রিমান্ড ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিল এনসিবি।
আরিয়ান আর মাদক–কাণ্ডের অন্যতম পান্ডা অচিত কুমারকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনসিবি।
আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের প্রশ্ন, আরিয়ানকে দুই রাত ধরে এনসিবি কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করেনি, তাহলে রিমান্ড কেন চাই?
সতীশ মানশিন্ডে আদলতকে জানিয়েছে, ‘আরিয়ানকে অতিথি হিসেবে পার্টিতে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। আরিয়ানের ব্যাগ তল্লাশি করেছিল এনসিবি।
ওর ব্যাগে মাদক পাওয়া যায়নি। রেভ পার্টির সঙ্গে আরিয়ানের কোনো সম্পর্ক নেই। আর ওর গ্রেপ্তারি অর্থহীন। আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
তবে তদন্তের ক্ষেত্রে সব রকম সাহায্য করবেন আরিয়ান।’ এনসিবি আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
সতীশ মানশিন্ডের বক্তব্য এই চ্যাট ফুটবলসংক্রান্ত। এখানে মাদকের কথা বলা হয়নি।
খবর ছিল যে আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আদালতের কাছে আরিয়ানের বিচারিক হেফাজতের আবেদন জানিয়েছেন।
কারণ, এতে জামিন পেতে সুবিধা। এদিকে মুনমুনের আইনজীবী আদালতে বলেছেন যে মুনমুনের জন্য একটা কেবিন বুক করা হয়েছিল।
কেবিন থেকে ৫ গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে। তদন্তে মুনমুনের বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি বলে আইনজীবী জানিয়েছেন।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। এর মধ্যে একজন বিদেশি নাগরিকও আছেন বলে জানা গেছে।
প্রমোদতরিতে যাঁরা পার্টির আয়োজন করেছিল, সেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি।
মাদক–কাণ্ডের অন্যতম পান্ডা অচিত কুমারকে মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। জানা গেছে, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের হেফাজতেই থাকবে অচিত কুমার।
এনসিবি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরিয়ান আর আরবাজ দুজনই অচিতের কথা জানিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন