প্রতিদিন একটা কচি ডাবের পানি কেন খাবেন?
আমরা সাধারণত যে খাবারগুলো (ভাত, রুটি, চিনি, ফল ইত্যাদি) খায় তাই সবগুলাই শর্করা যুক্ত খাবার। শর্করা জাতীয় খাবার খেলেই বডি তে বেশি মাত্রায় ইনসুলিন রিলিজ হয়। ইনসুলিন এর প্রধান কাজ হল শরীরের ভিতরে সোডিয়াম ক্লোরাইড ধরে রাখা। আমরা যখন শর্করা জাতীয় খাবার খাই তখন শর্করা নিজেই শরীরে পানি ধরে রাখে। আমরা শাকসবজি ছাড়া শর্করা জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিলেই বডি ধরে রাখা পানি ছেড়ে দেয়। এজন্যই দেখবেন ডায়েট শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই ওজন চার থেকে ছয় কেজি কমে গেছে। এটা আসলে পানির ওজন।
এর কারণ হলো দুইটা। এক. শর্করা খাচ্ছি না তাই বডি পানি ধরে রাখছে না। দুই. শর্করা না খাওয়ার ফলে বডিতে ইনসুলিন কম থাকছে । ইনসুলিনের কাজ ছিল সোডিয়াম ক্লোরাইড ধরে রাখা। এখন সেটা সে করতে পারছে না। তখন সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট কিডনি দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্য রাখবেন, আমরা শুধু পানি খাচ্ছি। আর যখন পানি প্রশাব আকারে অথবা ঘামের আকারে বডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, তখন কিন্তু দেখবেন সেটা নোনতা অর্থাৎ লবণাক্ত। অর্থাৎ সেটা ইলেক্ট্রোলাইট নিয়ে, সোডিয়াম ক্লোরাইড নিয়েই বডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি আপনি বেশি পরিমাণে পানি খান আর প্রশাব করেন অথবা ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে বডিতে সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট এর ঘাটতি হয়ে যাবে।
আমরা যারা জেকে লাইফ স্টাইল ফলো করছি, শাকসবজি বাদে অন্যান্য শর্করা খাচ্ছি না, নিয়মিত দৌড়াচ্ছি, হিট এক্সারসাইজ করছি তখন প্রসাব আকারে, ঘামের সাথে সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম, ট্রেইস মিনারেলস, ইলেক্ট্রোলাইট গুলো বের হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে অনেকেই গ্রুপে পোস্ট কমেন্ট করেন মাথা ঘুরতেছে, দুর্বল লাগে । এমতাবস্থায় আমরা যদি প্রতিদিন হিমালয়ান পিংক সল্ট, এবং একটা কচি ডাবের পানি পান করি, তাহলে সমস্ত ধরনের ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দূর হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে পিংক সল্ট নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট গ্রুপে দেওয়া হয়েছে। আপনারা সেটি দেখে নিবেন। আজকের সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করব ডাবের পানি কেন খাবেন?
স্যার মূলত পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিদিন একটা কচি ডাবের পানি খেতে বলেন। আমরা জানি পটাশিয়াম আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তাছাড়া একটা বডি ফাংশন সচল রাখার জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম প্রয়োজন। আর পটাশিয়াম এর অন্যতম উৎস হচ্ছে কচি ডাবের পানি। পাশাপাশি ডাবের পানিতে শর্করার পরিমাণ একেবারেই কম। 100 গ্রাম কচি ডাবের পানিতে শর্করার পরিমাণ মাত্র 3.7 গ্রাম। সুতরাং এটা জেকে লাইফস্টাইল ফ্রেন্ডলি। এছাড়াও 100 গ্রাম কচি ডাবের পানিতে আপনি 250 মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, 105 মিলিগ্রাম বিশুদ্ধ লবন পেয়ে যাচ্ছেন।
যেটা আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ব্যালেন্স ঠিক রাখবে।সুতরাং শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে, মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা কাটাতে প্রতিদিন অবশ্যই কচি ডাবের পানি, এবং হিমালয়ান পিংক সল্ট মেশানো পানি খেতে হবে।
তথ্যঃ জেকে লাইফস্টাই
মন্তব্য করুন