কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস রুখে দিতে সরকার দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। । সরকার প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেটে কাজ করছে ।
দেশব্যাপী মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য ১৩ হাজার ৮০০টি টিকা কেন্দ্র স্থাপন করবে । টিকাদান কর্মসূচি দূততম সময়ে শেষ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই স্পট নিপবন্ধন করে টিকা দেওয়া হবে দেশের জনগনকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশ ব্যাপী টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচির আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সারাদেশে সফল টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ইউনিয়ন পর্যায় স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দিবেন এবং ইউনিয়ন পর্যায় টিকাদান কর্মসূচিতে থাকবে না ডাক্তার নার্স। ইউনিয়ন পর্যায় টিকা দেওয়ার জন্য যারা নিবন্ধন করতে পারবেন তার নিবন্ধন করবেন ।
অন্যদিকে যারা নিবন্ধন করতে পারবেন না তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ইউনিয়ন টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসলেই নিবন্ধন করা যাবে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে পার্সপোর্ট দিয়ে টিকা নিবন্ধন করতে পারবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা টিকা সংরক্ষণ করে রাখা হবে। টিকা দেওয়ার দিন কোল্ড বক্সে করে ভ্যাকসিন ইউনিয়নে পৌঁছে দেওয়া হবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা , চীনের সিনোফার্মের টিকা তাপমাত্রা কমে সংক্ষরণ করা যায় তাই এইসব টিকা ইউনিয়ন পর্যায় দেওয়া হবে। অন্যদিকে ফাইজার ও মর্ডনার টিকা অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হবে বলে সিটি করপোরেশনে দেওয়া হবে।
দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তাই আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায় কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার।টিকা দেওয়ার জন্য ১৩ হাজার ৮০০টি টিকা কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করা হবে।
এদিকে এরই মধ্যে দেশে টিকা আসতে শুরু করছে । প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া পরিকল্পনা দেওয়া হবে। তারই ধারাবিহকতায় প্রতি সপ্তাহের ৬ দিন ৬০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত মুঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক , ইউনিয়ন পর্যায় টিকা কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানান।
টিকা প্রাপ্তি
এই পর্যন্ত ২১ কোটি ডোজ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রী । তিনি বলেন , আমরা ২১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করতে পেরেছি ।
তার মধ্যে চিনের সিনোফার্মার ৩ কোটি, অক্সফোর্ড-অ্যস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি, কোভ্যাক্সের ৭ কোটি ডোজ, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এর ১ কোটি ডোজ, জনসনের ৭ কোটি ডোজ।
আগামী আগস্ট মাসে চীন থেকে আসবে আরো ৪০-৫০ লাখ ডোজ টিকা। আর সাথে কোভ্যাক্সের আওতায় সেপ্টেম্বর মাসে আসবে অ্যাস্ট্রাজেনেকারের টিকা ১০ লাখ এবং ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা।
রাশিয়ার সাথে টিকা চুক্তি হতে পারে । টিকা চুক্তি হওয়ার পর রাশিয়া থেকে প্রথম ধাপেই আসবে ১০ লাখ টিকা এবং আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রথম সপ্তাহেই আসবে ২ কোটি ডোজ টিকা।
তার বাইরে চীনের টিকা বাংলাদেশে উৎপাদন করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
আরো আসার খবর হচ্ছে , কোভ্যাক্সের মাধ্যেমে জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২.৫ লক্ষ ডোজ টিকা ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহে আরো ৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন