এইচআইভি (HIV) আক্রান্ত হয়েছিলেন এক দক্ষিণ আফ্রিকান তরুণী।
ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি, তার ওপর ৯ মাস ধরে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছিল করোনা ভাইরাস। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ওই মহিলার শরীরে থাকা অবস্থাতেই ২১ রকম মিউটেশন করেছে ভাইরাস।
২২ বছরের ওই তরুণী এরপর চিকিৎসকের কথা মেনে অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল (এইচআইভি-র ওষুধ) ওষুধ খান ফলে তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এরপর ৬ থেকে ৯ সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। গবেষণায় এই তথ্য তুলে ধরেছেন স্টেলেনবস এবং কোয়াজুলু-নাটালের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। যদিও এই গবেষণার এখনও পিয়ার-রিভিউ হয়নি।
এই গবেষণা প্রমাণ করছে, যে সব ব্যক্তিদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম, তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলে নতুন ভ্যারিয়েন্ট জন্মানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ওই তরুণী আক্রান্ত হয়েছিলেন বেটা ভ্যারিয়েন্টে যা দক্ষিণ আফ্রিকাতেই উদ্ভূত।
ওমিক্রনও দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম পাওয়া গেছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের আগমনের পথ সম্পর্কে এই কেস অনেকটাই দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা অবশ্য বলছেন এটি এখনও তত্ত্বের পর্যায়ে রয়েছে। তবে তাঁরা এটুকু নিয়ে অন্তত নিশ্চিত যে ভ্যারিয়েন্টের আগমন ঠেকাতে অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল চিকিৎসাই চাবিকাঠি।
মন্তব্য করুন