ফলের রাজা আম । আর আম তার রাজত্বটা ধরে রেখেছে ,তার অনন্তনির্হিত গুণের কারনে। আম যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টির ও গুণে অতুলীনিয় ফল।
গাছে গাছে এর মধ্যে পাকা শুরু করে দিয়েছে আম । তাছাড়া জৈষ্ঠ্য মাস হচ্ছে মধুমাস। এই মাসে অনেক ফলের পাশাপাশি আমের গুরত্ব অপরিসীম। তার কারন একটাই আমের হচ্ছে বহুগুণে গুণান্বিত। আম খেতে খুবই সুস্বাদু । আম শুধুই কি রসনাতেই তৃপ্তিময় , নাকি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি তা আসুন জানি-
আমে কি থাকে
* আমে থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস যা মানবদেহকে কোলন, স্তন , প্রস্টেট ,লিউকেমিয়ার মতো ক্যানসার থকে রক্ষা করে। আমের পাতা ও কাঁচা-পাকা আমে যত গুণ।
*আমে থাকে প্রচুর পরিমানে প্রোবায়োটিক । প্রোবায়োটিক নিয়ে কিছু বলার আগে বলতে হবে ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কিছু কথা । তাহলে বুঝতে পারবেন এই প্রোবায়োটিকটা কি । আমরা ব্যাকটেরিয়া শব্দটার সাথে খুব ভালোভাবে পরিচিত। কেননা , মানুষের মধ্যে এমন কেউ নাই যিনি ব্যাটেরিয়ায় কখনো আক্রান্ত হয় নি।
আর ব্যাক্টেরিয়ার মরণ অস্ত্র হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। কম বেশি সবাই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন। অতএব আপনি ব্যাকটেরিয়া কখনো না কখনো আক্রান্ত হয়েছিলেন। সহজ করে বলি, আপনি যদি কখনো পেটের অসুখ বা পাতলা-পায়খানায় ভুগে থাকেন তাহলে ব্যাকেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমের পাতা ও কাঁচা-পাকা আমে যত গুণ।
পেটে প্রচুর ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হওয়ার কারনে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার অবস্থা চরম আকার ধারন করে। আবার প্রোবায়োটিকও একধরনে ব্যাকটেরিয়া। সব কিছুতেও যেমন ভালো – খারাপ দুইটা চরিত্র থাকে তেমনি ব্যাকটেরিয়াতেও দুই টা চরিত্র একটা হলো ভালো অন্যটা হলো খারপ। আমের পাতা ও কাঁচা-পাকা আমে যত গুণ।
আমরা আলোচনা করছি প্রোবায়োটিক নিয়ে , এই প্রোবায়োটিক হচ্ছে আপনার শরীরে জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া । যা মানুষকে খারপ ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে বলে কমেনসাল অর্গানিজম। সুতরাং কমেনসাল অর্গানিজম হচ্ছে ভালো ব্যাকটেরিয়া। আমের পাতা ও কাঁচা-পাকা আমে যত গুণ।
অসুস্থতার জন্য শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে গেলে বাইরে থেকে ঔষধের মাধ্যমে ভালো ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করানো হয়া । বাইরে থেকে যে ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করানো হয় সেটার নাম হচ্ছে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া। বাজারে রেনেটা কোম্পানির একটেরিয়া নামে পরিচিত। এই ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক আমের মধ্য পাওয়া যায়।
*আমে থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার , পেকটিন , ভিটামিন সি এ ও বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন নামের ফ্ল্যাভিনয়েডসের ভালো উৎস। এগুলো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমের পাতা ও কাঁচা-পাকা আমে যত গুণ।
* আমে থাকে ভিটামিন এ, সি এবং ই-এর ভালো উৎস, যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আমের আরো কিছু ভালো গুণ
ক্যারোটিনঃ প্রাকৃতিক ফলের মধ্যে আমেতে থাকে বিদ্যমান ক্যারোটিন যা ফুসফুস ও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন–জাতীয় খাবার থাকলে তা ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর।
পটাশিয়ামঃ তাজা কাচা আমে থাকে পাটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস যা মানবদেহের কোষ ও তরল উপাদনে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ ও হৃদরোগে ঝুকি কমায়। আমের পাতা ও কাঁচা-পাকা আমে যত গুণ।
ভিটামিন সিঃ আমে থাকে ভিটামিন সি যা মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আর ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। আমের পাতা ও কাঁচা-পাকা আমে যত গুণ।
আম তারুণ্য ধরে রাখতে কার্যকর। আমে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্বক সতেজ ও টান টান হয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, যা ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ভিটামিন বি ৬ঃ আমে থাকে ভিটিমিন বি ৬ যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে ও কিছু জটিল সমস্যা সমাধান করে।
কপারঃ আমে কপার পাওয়া যায় , যা লোহিত রক্ত কনিকা তৈরি করতে সাহয্য করে।
আম পাতা ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে।
আমের পাতা মানুষেকে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সহায্য করে। তাঁরা যদি পাঁচ-ছয়টি আমপাতা ধুয়ে একটি পাত্রে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি পান করেন, তাহলে এটা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তথ্য সংগ্রহঃ ইন্টারনেট
মন্তব্য করুন