আমাদের দিনটা শুরু হয় । এক কাপ চা অথবা কফি দিয়ে ।
আমাদের স্বাস্থ্যকর দিক থেকে অবশ্যই চা কফি ভালো একটা পানীয়।
যদি ভালো কোন পানীয় না হতো কখনই চা কফি পান করা হতো না ।
চলুন দেখি বিজ্ঞান দিক থেকে চা কফি কেমন উপকারী।
বিশ্বের খুবই জনপ্রিয় পানীয় হলো কফি।
তবে এশিয়া সহ সরা পৃথিবীতে চায়ের থেকে কফি খুবই জনপ্রিয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে চা খুবই জনপ্রিয় পানীয়।
আমরা বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে কফি বিষয় অধ্যয়ন করেছি।-
তার ফলসূতিতে জানতে পারি- কফি মূলত ১৯৯১ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী কফিতে আছে ক্যান্সার নিরোধ উপাদান ।
। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে কফিকে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
কফিতে যা থাকে l কফি পানীয় কেন ।
কফিতে রয়েছে অ্যান্টিক্সিডেন্টে ভরপুর।
আর প্রচুর পরিমানে ক্যাফেইনসহ ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন) , ম্যাগনেসিয়াম এবাং আরো থাকে উদ্ভিদ রাসায়নিক, যেমন পলিফেনল সমৃদ্ধে ভরপুর।
গভেষণায় দেখা গেছে ৮ আউন্স কফিতে থাকে ৯৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন, আমেরিকানরা দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি পান করে। তাহলে আমেরিকানরা প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন পায় কফি থেকে।
কফিপানে স্বাস্থ্যকর কি কি সুবিধা থাকে
যারা প্রচুর পরিমাণে কফি পান করবে তাদের স্বাস্থ্যকর অনেক ঝুঁকি থাকে। প্রতিদিন ছয় কাপের বেশি কফি পান করা উচিত নয়।
অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে । পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে । হতে পারে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা।
দিন এ থেকে দুই কাপ কফি পান করা উচিত তাতে করে কফি পান আপনার জীবনের একটা অংশ হতে পারে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কফিতে কোলন ক্যান্সারের সহ কিছু অন্যধরনের ক্যান্সার ভালো করতে পারে এমন উপাদান আছে । তাই নিয়োমিত কফি পান করুন।
কোলনের মাধ্যেমে পিত্ত এসিড তৈরী করে এবং দ্রুত হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ,এবং কোলন টিস্যুর সংস্পর্শে আসার কারনে ক্যন্সারের পরিমান কমিয়ে আনতে পারে।
ক্যাফেইন মানুষের শরীরে বিশেষ গুরত্ববহন করে । ক্যাফেইন কর্মচাঞ্চল্য হতে সাহায্য করে , মানসিক প্রশান্তি ,শক্তি বৃদ্ধি ও উন্নত চিন্তা শক্তির প্রসার ঘটায় করতে সাহায্য করে কফি বা ক্যাফেইন।
মোট কথা , আপনি ক্লান্ত অবসাদ বোধ করেন তাহলে এক কাপ কফি পান করে নিন ।
কফিতে অ্যন্টঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে পারে এমন উপাদান আছে।
আমেরিকান ইনস্টিউট ফর ক্যান্সারের গবেষণায় দেখা গেছে, কফি এন্ডোমেট্রিয়াল এবং লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়োমিত কফিপানের ফলে লিভারে এনজাইমের মাত্রা কমে যায় । ফলে ক্যান্সার রোধে কাজ করে কফি।
কফি পানীয় দ্রব্য যারা পান করে তাদের ডায়াবেটিস রোধে কাজ করে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়োমিত কফি পান কারিদের টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ৮ থেকে ৩৬ শতাংশ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে এসেছে।
প্রায় ৮০ হাজার নারীদের উপর একটি গবেষণায দেখা গেছে , দিনে ৩- থেকে ৪ কাপ কফি পানকারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কম . যারা কফি পান করে না তাদের তুলনায় ।
কিন্তু চা জাতীয় ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায় নি । অতএব কফিই ভালো।
দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমে। অন্য একটি গবেষণাতে ৫৭ জন পুরুষ ও মহিলাদের নিয়োমিত দিনে ৩- খেকে ৪ কাপ কফি পান করার ফলে হার্ট এটাক কমে ১৫-২১ শতাংশ।
নিয়োমিত কফি পান করুন । কিন্তু চিনি নানা ফ্লেভার যেন কফির নানাবিধও গুনাগুন নষ্ট না করে।
- কফি পানীয় দ্রব্য যারা পান করে তাদের ডায়াবেটিস রোধে কাজ করে।
- কফি পানীয় দ্রব্য যারা পান করে তাদের ডায়াবেটিস রোধে কাজ করে।
- কফি পানীয় দ্রব্য যারা পান করে তাদের ডায়াবেটিস রোধে কাজ করে।
মন্তব্য করুন