নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য কমিশনারের নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সার্চ কমিটির সভাপতির পদ পাওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমার এবং সার্চ কমিটির সদস্যদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন সেজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করবো।’
শিগগিরই কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার কথাও জানান আপিল বিভাগের এই বিচারপতি।
সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
প্রসঙ্গত, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। শনিবার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত সার্চ কমিটি আইন অনুযায়ী তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে ১৫ দিন সময় পাবে। ফলে নতুন কমিশন গঠনে বর্তমান কমিশনের মেয়াদের পরেও সময় থাকছে সার্চ কমিটির। অবশ্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদ এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
উল্লেখ্য, আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগ দানের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে কিছুদিন এসব পদ শূন্য থাকলে আইনি কোনও ব্যত্যয় হবে না।
আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে এ সার্চ কমিটি নতুন সিইসি ও ইসি নিয়োগে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকেই পাঁচ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।
কৃতজ্ঞতাঃ বাংলা ট্রিবিউন
আরো পড়ুন>>নির্বাচন কমিশন গঠনে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি
মন্তব্য করুন