হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি চিকিৎসায় ডিগ্রিধারী কোনো ব্যক্তি নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ে এসব বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত জারি করা রুল খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ৭১ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করেছেন।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। রায় লেখার পর দুই বিচারপতি একমত হয়ে রায়ে স্বাক্ষর করেছেন। আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি চিকিৎসায় ডিগ্রিধারীরা নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও অ্যাডভোকেট খোন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।
রায়ে বলা হয়েছে, দুঃখজনকভাবে এটি লক্ষণীয় যে, যেখানে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী বিএমডিসি’র নিবন্ধনভুক্ত মেডিকেল বা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার (Dr.) পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বিগত ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তারিখের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে ‘অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার’ (Alternative Medical Care) শীর্ষক অপারেশনাল প্লানের বিভিন্ন পদে কর্মরত হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব নামের পূর্বে ডাক্তার (ডা.) পদবি সংযোজনের অনুমতি প্রদান করেছে, যা এক কথায় আইনের কর্তৃত্ব বহির্ভূত তথা বেআইনি।
মন্তব্য করুন