গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “সংবিধান সংস্কারের অনেকগুলো দিক রয়েছে। কিছু সংস্কার নির্বাচনপূর্ব নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে করা সম্ভব, আবার মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারাই করতে হবে। জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন করা কঠিন।”
বুধবার, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, “সংস্কারের ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। জাতীয় সনদ আকারে সংস্কার প্রস্তাব আনতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনমত গঠন করতে হবে।”
সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত সময় আছে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, “আগামী সংসদ হবে সংস্কার পরিষদ, যেখানে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। আদালতও সংস্কারকৃত সংবিধানকে সুরক্ষা দেবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা জরুরি। এই সময়ের মধ্যে ঐক্যমত গঠন সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা দিবস এবার বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে এসেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের স্বপ্নকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে।”